অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার টিপস
পাড়া মহল্লায় পাহারা দেওয়ার জন্য পাহারাদার থাকে ,
তেমনি আমাদের শরীরকে পাহারা দেওয়ার জন্য এমন বিশেষ কিছু পাহারাদার আছে যা আমাদের শরীরে নিযুক্ত করা আছে।
ক্ষতিকর জীবাণু থেকে আমাদের শরীরকে সুরক্ষা দিতে।
আমরা সারাদিন কত কিছু অপরিষ্কার খাবার খাই, বাতাসে ভেসে বেড়ানো কত জীবাণু আমাদের শরীরে ঢুকে তারপরেও আমরা অসুস্থ্য হয়না।
এই পাহাদারের কল্যাণে।
ক্ষতিকর জীবাণুকে আমাদের শরীরের পাহাদার ধরাও পাকরাও করে ধ¦ংস করে তারপরেও আমরা কিছু টের পাইনা।
এটাই হলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা।
তবে এটা শরীরে নিখুঁতভাবে কাজ করলে ও অনেক সময় ভুলও করে থাকে।
তখনিই দেখা যায় শরীরে এলার্জি বা অ্যালার্জি।
যেমন ধরেন, বৃষ্টির দিনে আমরা অনেক কিছুই করি তেমনি বৃষ্টির দিনে রিফাতের সখ বৃষ্টি ভুণা খিচুড়ি ইলিশ মাছের ভাজি সাথে বেগুণ ভাজি নিয়ে মনের সুখে আরাম করে খাবে।
খাওয়া পর পর দেখা গেল রিফাতের গায়ে লাল লাল দাগ আর প্রচুর চুলকানি হচ্ছে এতো মহা মুশকিলে রিফাত।
আরাম করে তো খাওয়া গেলই না বরং চুলকানিও থামছেনা। তাহলে এখানে ঘটনা কি হলো।
রিফাতের শরীরে যে পাহারাদার আছে তারা তাকে অনেক জীবাণু থেকে রক্ষা করে।
তারা রিফাতের খাবারের মধ্য থেকে যেকোন একটা উপকরণ রিফাতের জন্য ক্ষতিকর মনে করেছে।
এই খাবারের মধ্য বেগুনকে ক্ষতিকর মনে করে, পাহারাদার বেগুনের সাথে মানে শরীরের ভিতরে ব্যাপকভাবে চুলকাচুলকি হচ্ছে।
রিফাত জানে বেগুন বা মাছ খেলে কিছু হবেনা ।
বেগুন তার কোন ক্ষতি করবেনা। সহজ ভাষায় হলো এটাই হলো এলার্জি বা অ্যালার্জি।
আপনার শরীরের জন্য এই জিনিসগুলো ক্ষতিকর না কিন্তু আপনার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তাদের কে আপনার শরীরের শক্র ধরে নিয়েছে।
সাধারণত এটা ভয়ের কিছু না ,
এটা আবার আপনা আপনা চলে যায়। তবে এলার্জি অনেক রোগীকে খুব কষ্টে রাখে। আবার এলার্জি প্রাণঘাতি হতে পারে। তবে সাধারণত এলার্জি থেকে বাঁচার উপায় কি?
এলার্জির চিকিৎসা দুই ধরণের হয়ে থাকে।
প্রথম ও কার্যকরী উপায় হলো এলার্জি হতেই না দেওয়া। আপনার শরীর যাকে শত্তু মনে করে সে খাবার না খাওয়া।
দ্বিতীয় পদ্ধতি হলো এলার্জি দেখা দিলে সেই অস্থি থেকে রেহাই পেতে চিকিৎসা নেওয়া। প্রথম উপায়টা আগে বলি সেটা হলো যে, খাবার আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শত্তু মনে করে সেই সব খাবার পরিহার করা।
অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার টিপস
আপনার কোন কোন জিনিসে এলার্জি তা কিন্তু অবশ্যই খুজে আপনাকে বের করতে হবে। খুজে বের করে সেসব খাবার ও জিনিস দুরে রাখতে হবে।
ডাষ্ট মাইট : ডাষ্ট মাইট এক ধরণের ছোট ছোট পোকা। যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাইনা। আমাদের চামড়া থেকে শুকনো মৃত চামড়া খসে পরে সেগুলো খেয়ে ডাষ্ট মাইট বেঁচে থাকে।
এই ডাষ্ট মাইটের কারণে এলার্জি হতে পারে আপনার।
কারণ এলার্জি হওয়ার কমন একটা বিষয় ডাষ্ট মাইট পোকা। এটা থেকে দুরে রাখতে পরিহিত পোষাক ,বিছানার ছাদর ,
লেপের কভার সপ্তাহে ১বার হলেও গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করা।
যেগুলো আসবাপত্র ধুয়ে দেওয়া যায় না। সেগুলো কম ইউজ করা।
আর ঘর বা বিছানা পরিষ্কার বা ঝাড়– দেওয়ার সময় মুখে মাক্স ব্যবহার করা। বাসার যে জায়গায় আপনি বেশি সময় কাটান সেসব জায়গা পরিষ্কার রাখবেন।
ঋতু পরিবর্তন: ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বাতাসের পরাগ রেণুর ধরণ পরির্বতন হয় ও সংখ্যা বাড়ে ও কমে। সেই সাথে আপনার শরীরে এলার্জি বেশি হতে পারে।
বছরের একটা সময় দেখা যায় অনেকের নাক দিয়ে পানি পরে।
অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পাওয়ার টিপস
চোখ দিয়ে পানি পরে। আবার শরীরে সব জায়গায় চুলকায়। হাচিঁ কাশি কখনো পাশে থেকে সরেই না। তাই ঋতু পরির্তনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঘরম বা ঘাম : ঘামে যে উপাদান আছে সেগুলো বিরুদ্ধে আপনার শরীর রিয়েক্ট করতে পারে। অনেক পরিশ্রম করলে ।
কাজ করলে বেশি খাটাখাটি করলে শরীর অনেক ঘাম হয়।
তখন গায়ে চুলকানি বা চাকা চাকা হতে পারে।
তাই বেশি গা না ঘামে আবার পারলে চেষ্টা করবেন । ঢিলেডাল পোষাক পরার শরীরে আলোবাসাত ঢুকতে পারে। এসব বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
ঠান্ডা : গরমের মতো বেশি ঠান্ডায় গেলে এলার্জি হতে পারে।
বৃষ্টিতে ভিজলে পুকুরের পানিতে এলার্জি হতে পারে ।
তাই এসব থেকে দুরে থাকতে হবে।
এলার্জি আমাদের শরীরে অনেক কারণে হয়ে থাকে তার মধ্যে হিষ্টামিন অন্যতম। তাই এলার্জি যদি হয়ে যায় তবে অ্যান্টিহিস্টামিন এর সয়হতা নিতে হবে। অ্যান্টিহিস্টামিন এর অনেক ঔষধ আছে।
চিকিৎকের পরামর্শে এসব ঔষধ সেবন করে ।
এলার্জির প্রতিরোধের বিষয়টি সঠিকভাবে মানলে এলার্জি বা অ্যালার্জি ভালো হয়।