রমজানে সারাদিন এনার্জি পেতে খাবার তালিকা

3

রমজানে সারাদিন এনার্জি  পেতে খাবার তালিকা

রোজা থাকা অবস্থায় আপনার সারাদিন এনার্জি থাকে সে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

সে জন্য কি ধরনের খাবার খাবান, কেমন ধরনের রুটিন ফলো করবেন সেটাই এই আলোচনায় জানাবো।

তাহলে শুরু করা যাক ইফতার দিয়ে। আমরা অনেকেই খেজুর দিয়ে ইফতার করি,

এটা খুব ভালো তবে এখানে একট কাজ করলে ভালো হবে।

খেজুরের আটি বাদ দিলে খেজুরে ভিতরে কাঠ বাদাম দিয়ে খেলে আরো অধিক পুষ্টিকর হবে।

বিশে^র পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় এসেছে কাঠ বাদাম।

তবে হাতের কাছে কাঠ বাদাম না থাকলে অন্যকোন বাদাম দিয়ে করতে পারেন।

এর সাথে অনেকেই কিছু কাজ করেন যেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না।

সেইটা হলো চিনি দিয়ে বানানো শরবত খাওয়া।

না খেয়ে পানি খাবেন আর সুযোগ থাকে ডাবের পানি খাবেন।

ডাবের পানিতে পঠাশিয়াম থাকে যা আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দুর করবে।

আর চিনির ঘাটর্তি আমাদের শরীরে এমনি পুরুণ হয় ।

সেজন্য নতুন করে চিনি খাওয়ার দরকার নেই।

চিনি খেলে এমনি শরীরে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

খেজুর আর পানির পাশাপাশি ফল খেতে পারেন।

যেটা আপনার জন্য সহজলভ্য সেইটা খেতে পারেন।

যেমন পেঁপে, কলা , আনারশ, তরমুজ  এসব ফল খেলে এনার্জি পাবেন।

পারলে রমজানে পুরো মাস ফল পরির্বতন করে খাবেন।

অনেকেই আবার পেয়াজু ,বোরা ভাজা, পোড়া ,বিরায়নি, বড় বাপের পোল, এসব খাবার  স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ ।

এই খাবারগুলোর মধ্যে বিপদজনক ফেট থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে এসব বিপদজনক ফেট খাবার প্রতিদিন খান তবে হার্টের বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।

তাই সারাদিন রোজা রেখে এসব ক্ষতিকর খাবার না খাওয়া অতি উত্তম।

তবে খেজুর পানি ফলমুল খাবার পর আপনি কি করবেন?

এখানে একটা কাজ করতে পারেন তা হলো কিছু সময় বিরতি দেয়া। বিরতি নেয়া ফলে ব্রেইন বুঝতে পারে খাবার পেটে গেছে। এতে করে অতিভোজন হবেনা।

রমজানে সারাদিন এনার্জি  পেতে খাবার তালিকা

রমজানে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ায় অনেকের গ্যাষ্টিকের সমস্যা,ওজন বাড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যারা এই রোজায় ওজন কমাতে চান তাদের জন্য এই বিরতি নেয়া খুব ভালো হবে।

খেজুর পানি ও ফলমুল খাবার পরে যে বিরতি নিলেন তারপর কি খাবেন?

ইফতারের বিরতের পর যে খাবার খাবেন সেই খাবার চার ভাগ করবেন। যেমন,

এক ভাগ ফলমুল রাখবেন, একভাগ ঢেঁকি ছাটা লাল চালের ভাত , আরেক ভাগ রাখবেন শাখসবজি। আর বাদবাকী মাছ ও মাংস ইত্যাদি।

এভাবে যদি রমজানে খাবার খেতে পারেন তবে রোজায় সারাদিন এনার্জি পাবেন।

এতক্ষণ ইফতার আর রাতের খাবার নিয়ে বললাম ।

এখন যেটা বলবো সেটা সারাদিনের পানি শূন্যতা  এটার দিকে যদি না খেয়াল করেন।

তবে শরীর খারাপ হতে পারে। ইফতার থেকে সেহরী পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ গøাস পানি পান করবেন।

তবে তারাবীর নামাজের মধ্যেও পানি খেতে পারেন।

যেহেতু তারাবীর নামাজ লম্বা সময় ধরে পড়তে হয়।

এখন কথা হলো সেহরীতে কি খাবেন?

সেহরীতে এমন খাবার খেতে হবে যা সারাদিন এনার্জি দিবে।

যে খাবারগুলিতে ফাইবার বেশি সে খাবার খাবো। সাদা চালের ভাত খুব তারাতাড়ি হজম হয়ে যায়।

আর অল্পতেই ক্ষুধা লাগে।

তাই লাল চালের ভাত খাবো যে সারাদিন একটু একটু করে এনার্জি পাই।

বিশেষ একটি কথা রমজানে ব্যায়াম করতে পারেন।

এটি স্বাস্থ্যর জন্য খুব উপকারী।

সপ্তাহে কমপক্ষে ২৫০ মিনিট হাটবেন বিশেষ করে ইফতার করার পরে।

সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ্য থাকবেন সেই প্রত্যাশায়।




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *