লো প্রেসার কেন হয়

2

লো প্রেসার কেন হয়

আজকে আমি আমার সাইটের যে বিষয় আলোচনা করব , সেই রোগটি সকল মানুষের ভিতরে কম বেশি রয়েছে । রোগ টি সর্ম্পকে আপনাদের মাঝে আলোচনা করব ,

সেই জন্য আমার ব্লগ আটিকেল টি পড়লে আপনাদের কনফিউ দূর হয়ে যাবে ।

সবার পরিচিত রোগটি হলো , লো প্রেসার মানুষের কেন হয় ।

লো প্রেসার সাধারনত বুঝি সব সময় রক্তচাপ কম থাকে  এবং রোগী খুবই দুচিন্তা করে থাকেন ।

আমরা যখন ডাক্তার এর কাছে যাই তখন , ডাক্তার দুই টা জিনিস লক্ষ করেন ।

যেমন , উপরে টি হলো সিস্টোলিক রক্তচাপ ও নিচের টা ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয় ।

কিন্তু এই দুইটির মধ্যে মাপ রয়েছে রক্তচাপ এর বিষয়ে , তা হলো ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ মাপ থাকতে হবে ৮০ মিলিমিটার ও সিস্টোলিক রক্তচাপের মাপ হলো ১২০ মিলিমিটার পারদের কম থাকতে হবে ।

লো প্রেসার পরীক্ষার জন্য ডাক্তার এই বিষয় এর উপর বলা হয় লো প্রেসার আছে কি না ।

লো প্রেসার কাকে বলে : – সাধারনত ডাক্তারের ভাষায় সিস্টোলিক ৯০ মিলিমিটার পারদের কম ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মিলিমিটার পারদের কম হলে তা নিম্ন রক্তচাপ বা লো – প্রেশার বল হয় না । যেমন , আমরা ৯০/৬০ মিলিমিটার থেকে ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদ থাকলে স্বাভাবিক বলা হয় ।

কিন্তু লো প্রেসার অপ্ল হলে তা নো প্রেসার বলা যাবেনা ।

সাধারনত রক্তচাপ বিভিন্র কারণে হতে পারে , যেমন অতিরিক্ত গরম হলে রক্তচাপের তারতাম্য ঘটতে পারে । অথ্যাৎ পরিশ্রম, পানিশূন্যতা , বিশ্রাম বা ঘুম , হাঁটাচলা , ব্যায়াম ইত্যাদি রক্তাচাপের  সর্ম্পক রয়েছে । বেশি শুয়ে থাকা দাড়িয়ে থাকা ও রক্তচাপের কারন হতে পারে । কিন্তু ঘুমের মধ্যে রক্তচাপের প্রভার পরতে পারে ,এ সময় রক্তচাপ কম থাকে ।

লো প্রেসার কেন হয়

সকাল থেকে রক্তচাপ বাড়তে পারে ।কিন্তু যত গরম হবে তত রক্তচাপ এর মাত্রা রাড়তে পারে । কিন্তু তাতে সমস্যা নেই , সিস্টোলিক এর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১৫ মিলিমিটার ও ডায়াস্টোলিকের জন্য  ৫ থেকে ১০ মিলিমিটার  হয়ে থাকে । এই রক্তচাপ এর মাপ কোনো সময় কম বাড়া হয়ে থাকে  এটাই স্বাভাবিক ।

রক্তচাপ নিম্র বা উচ্চ হলে কোনো রোগ নহে । কিন্তু বিভিন্ন কারনে রক্তচাপ হতে পারে ।

নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে অন্য রোগের কারনে হওয়ার সমব্ভবনা বেশি ।

তাই রক্তচাপ ৯০/৬০ মিলিমিটার পারদের কম হলে তার কারন বের করা অত্যন্ত জরুলি ।হঠাৎ বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসা নিতে হবে ।

রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক এর চেয়ে কম হলে :

  • যেমন অতিরিক্ত দৌড়রানো বা নিয়মিত ভারী ও অ্যাথলেট কারনে  ব্যাক্তিদের রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই কমের দিকে চলে যাবে ।
  • মেয়েরা অন্তঃসত্বা হলে প্রথম দিকে রক্তচাপ কম থাকে ।
  • সাধারণত রাতে , বা ঘুমের মধ্যে বা পরে এবং খাওয়ার সময় রক্তচাপ কিছু সময় কম থাকে ।
  • বেশি শোয়া বা বসা ব্যক্তি হঠাৎ দাড়ালে রক্তচাপ একটু কম হযে থাকে । যত বয়স বেশি হবে ৬৫ বছরের লোকেদের ১০ থেকে ২০ শতাংশ এই সমস্যা দেখা যায় ।
  • বিভিন্ন ঔষধ খাওয়ার জন্য বয়স্ক লোকদের রক্তচাপ কমতে থাকে ।

 

রক্তচাপ কমানো পরিচিতি :

  • রোগটি দেখা দিলে রক্তশূন্যতা , পানিশূন্যতা বমি রক্তক্ষরণ ও ডায়ারিয়া ।
  • রোগীর হরমোনজনিত সমস্যা যা থাইরেয়েড বা অ্যা্ড্রিনাল  গ্রন্থির হরমোন সমস্যা কারনে রক্তচাপ কমে যায় ।
  • আর হাট অ্যাটাক বা হৃদরোগ ও হাট ফেইলিওর ভালভের জম্নগত থেকে হতে পারে ।

 

লো প্রেসার কেন হয়

রক্তচাপ কমানো পরিচয় :

 

  • শরীর দুবল হওয়া
  • কিছু সময় চোখে বা অন্ধকার দেখা
  • রোগী হঠাৎ জ্ঞান হারানা পর বলতে না পারা
  • রোগীর হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
  • রোগী খুবই পিপাসা লাগবে
  • শোয়া বা বসা কিছুই ভালো লাগবে না
  • মাথা ঘোড়া বা ঝিমঝিম করা

 

প্রতিরোধ :

  • প্রথম রোগীর বমি বা ডায়ারিয়া হলে খেয়াল রাখতে যে পানিশূণ্যতা  না হয়
  • রোগীকে তারা লবণ বাদ দেওয়া যাবে না , তাই দৈনন্দিন লবণ খাওয়াবেন
  • সব সময় ঠান্ডা জায়গায় থাকতে হবে , তার শরীর যেন ঘামেনা
  • বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবে না , কাজের মাঝে হালকা নাস্তা করা
  • নিয়ম মেনে উঠা বসা করা যাতে রক্তচাপের সমস্যা না হয় , ৬০ বছরের লোকদের এটা বেশি হয় ।

 

রোগীর রক্তচাপ স্বাভারিক এর দিকে নিতে হবে ।

যদিঔষধ খাওয়ান তাহলে বাদ দিবে না এতে রোগীর সমস্যা বেশি হতে পারে ।কিন্তু রক্তচাপ কম হলে  রোগীর  মস্তিস্ক ,

কিডনি ও হৃৎপিন্ড রক্তস্বপ্লতা  জটিলা দেখা দিতে পারে ।

সব সময় রোগীকে  স্যালাইন ও ডাবের পানি এবং তরল খাবার দিতে হবে ।

আশা করি আপনাদের লো প্রেসার রোগটি বিষয় আর সমস্যা থাকবে না

সবার সুস্বাস্থ্য্ কামনা করছি ,




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *